কে ডাকে
কথা ও সুর: শরীফ সিদ্দিকী
কে ডাকে, সময়ের পাড়ে
ধূসর অতীত, কুয়াশা ছিড়ে
সুর শিহরণ, পেছনে ফেলে
পথ হেটে, আর পথ ভুলে
যাপিত জীবন, আবারো ফিরে
কে ডাকে, জলের ওপাড়ে
সীমানার পথে, নতুন করে,
মৌনতা, কোলাহল ভীড়ে,
হারানো বিকেল, অবিরাম খোঁজে,
সময়ের সুর, ছয় তারে বাজে
কোপ
কথা ও সুর: শরীফ সিদ্দিকী
সুবিধাবাদীর তেরচা হাসি, নগরবাসীর কোপ
সুশীলজনের আঁতেল বুলি, আমজনতার কোপ
মহাজনের পকেট ভারী, কর্মচারীর কোপ
স্পষ্টবাদী চাকরিজীবির, রুজির উপর কোপ
হায় এ দেশ কোপের উপর
ঝোকের মাথায় ভরছে উদর
দেদারসেতে খাচ্ছে গিলে
মানুষ ধরার টোপ
কোপা কোপা কোপ
ইঁদুর দৌড়ে সামিল সবাই, পয়সা গোনার ক্ষোভ
কেউ বলেনা কোন কথা, বিলীন হলো শোক
কোথাও সুখ নাইরে পাগল, যতই করো ভোগ
সবচেয়ে সুখী জাতির আজ পচন ধরা রোগ
গণ-রাজতন্ত্র
কথা ও সুর: শরীফ সিদ্দিকী
শহরে এসেছে এক নতুন যন্ত্র
কল কাঠি নাড়ে যারা, অদৃশ্য থাকে তারা
নাম তার শুনেছি
গণ-রাজতন্ত্র
এ কেমন মন্ত্র
এক ফুকে চোখ হন্ত
প্রজারা সব
ঘুম দেয় নিরন্ত
শহরে এসেছে এক নতুন যন্ত্র
তেল দিয়ে চলে সে যে
খেতে দিলে আরো খোজে
নাম তার শুনেছি
গণ-রাজতন্ত্র
উজিরে জমায় সোনার মোহর
সাজোয়া চলে বিলাস বহর
হতাশায় জনতার স্থবির লহর
পার করে অহরাত অলস প্রহর
বীর
কথা ও সুর: রাফি আলম
ছোট বড় কত স্বপ্ন তোমার চোখে
ভাবো তুমি একা একা আড়ালে
যদি তুমি উড়তে নীল আকাশে
জাহাজী হয়ে ঘুরতে দূর-অজান্তে
ভাঙা গড়া নিজের মাঝে প্রতিক্ষণ বয়ে চলে
হবে অভাব প্রতিকার যাবে সব কষ্ট হারিয়ে
তুমি বীর নিজের মাঝেই নিজে এক মুক্তিযোদ্ধা
তুমি বীর নিজের মাঝেই নিজে এক মুক্তিযোদ্ধা
সৃষ্টির সকল বাধা চিরে দূর করো অপূর্ণতা
তোমাতেই জয় পরাজয়ের শিখা জ্বলে উঠে আশার বন্যা
ভোরের শান্ত নগরী যখন জেগে উঠে
ব্যস্ত তুমি জীবন যুদ্ধের প্রয়াসে
কখনো তুমি ক্লাসে, কখনো মিছিলে
কৃষক রোদে মাঠে ঘাটে মাঝি পানি বেয়ে
গ্রামছাড়া মজুরি তুমি ক্লান্ত শহরীতে
হবে অভাব প্রতিকার যাবে সব কষ্ট হারিয়ে
যেতে যেতে বহুদূর তুমি ক্লান্ত অসহায়
তবু তুমি লড়ে যাও দিন বদলের চেষ্টায়
বার্তা
কথা: ঈনাম রহমান, সুর: রাফি আলম
সেকি পড়েছে বার্তা? আমায় কি জানাবে?
বার্তাদূত বলো মন যে মানেনা !
চলো বেরিয়ে পড়ি কোথাও অজানায়
শহর পেরিয়ে ঘন সবুজে
খুঁজে নেবো আজ একে অপরকে
চেনা অচেনার আজব ভিড়ে
সে কি মাতবে আজ, ভালোবাসার গানে?
ছুঁয়ে যাবে মন, চাই মনে প্রাণে
সে কি মাতবে আজ, হৃদয়ের টানে?
ছুঁয়ে যাবে মন, সূর্যস্নানে
যেদিন দেখেছি তোমায়, কলেজের পরিসরে
আড়চোখে দেখা, সেই থেকে চাওয়া
তোমার অবাক দৃষ্টি, প্রাণবন্ত হাসি
প্রণয়েরই সুতো, বাঁধে মন দুটো
বৃষ্টিবিলাস
কথা ও সুর: অমিত মুনতাসির
মেঘের পরে জমেছে মেঘ
আকাশ আজ ডাকছে তোমায়
ঘোর বরিষণের নিমন্ত্রণ
অবহেলা না করা যায়
বেরিয়ে পর আজ তুমি
সম্মুখে বিস্তৃত পৃথিবী
আজ তুমি একা স্বাধীন
জগতের সবকিছু পরাধীন
প্রতিটি বিন্দু ভরা
শুধু তোমার উল্লাস
বিস্তীর্ণ গগনের নিচে
এ তোমার বৃষ্টিবিলাস
নেই কোনো বাঁধা আজ
করে দাও মনটা উজাড়
আলিঙ্গন করো পৃথিবী
হারিয়ে যাও তুমি নিজের মাঝে
অসীম
কথা: অমিত মুনতাসির, সুর: অমিত মুনতাসির ও রাফি আলম
বিশাল নক্ষত্রবীথি
শতসহস্র প্রাণ
করছে প্রকৃতিকে নিঃশেষ
কেও ভাবেনা কোথায় হবে এর সমাপ্তি
ফুরিয়ে যাচ্ছে নিয়ন আলো, সব সহায়
অপ্রিয় সিদ্ধান্তে প্রয়োজন অটুট অভিলাষ
বাধা দিয়ে পারবেনা ঘোরাতে সময়ের বাঁক
অসীম আমি
বিধাতার সমান
তোমার পরিণতি
অতল অন্ধকার
আমি অনিবার্য
আমি অপ্রতিরুদ্ধ
তুড়িতেই অবসান
নিমিষেই সমতা
নৈশ প্রহরী
কথা: ঈনাম রহমান ও শরীফ সিদ্দিকী, সুর: শরীফ সিদ্দিকী
তুষার রাঙ্গানো রক্তে শোয়া
বিশ্বাস ঘাতকের মৃতদেহ
তরবারির ছয়কোপে খুন
ফিরে চাহেনা কেহ
জেগে উঠে পূনর্জন্মে
জারজ প্রহরীর দেহ
ষড়যন্ত্র চতুর্দিকে, বিশ্বাসতো নেই কারো
বামুনের সুদৃষ্টি ছাড়া, প্রহরীর নেই যে কেহ
পালকের ঘরে নেই ভালোবাসা
উপাধি পেলো ‘বেজন্মা’
প্রহরী তোমার ধমনীতে কার – রক্ত বহে
প্রহরী তুমি কিছুই জাননা
প্রহরী ঐ লৌহ সিংহাসন কার
জানে দাঁড়কাক
প্রহরী তুমি কিছুই জাননা
শ্বেত পথিকের কবল ছিড়ে
বন্য মেয়ের খপ্পরে
লাল ডাইনির চোখ এড়িয়ে
ড্রাগন মাতার পাজরে
জানে না সে যে, কি তার অধিকার
সিংহাসনের এই খেলায়
পালকের ঘরে নেই ভালোবাসা
সত্যের পরিচয় তরবারী
ইস্পাতের রংতুলি দিয়ে
হয়েছে নিয়তির নির্মানকারী